
প্রকাশিত: Tue, Dec 27, 2022 4:30 PM আপডেট: Wed, May 14, 2025 2:00 PM
ঢাকা লিট ফেস্ট এবং দু’টি প্রশ্ন
নাফিস তিহাম: উত্তরাধুনিক উদারনীতির এ যুগে যেখানে ধনতন্ত্রের শিকলে অনাহারীর খাদ্য ক্ষুধার সাথে সাথে শিল্পী মনের সাহিত্য ক্ষুধা বন্দী সেখানে উযধশধ খওঞ ঋবংঃ: এর এই প্রবেশমূল্য সামগ্রিকভাবে আমার সামনে দু’টি প্রশ্ন উত্থাপন করে। ডযড় মবঃং ঃড় ফৎধি ঃযব ষরহব? ডযবৎব ফড় ঃযবু ফৎধি ঃযব ষরহব? যদি আপনাকে কোলে করে নিয়ে গেলেও আপনি দামীরের গান শুনতে না চান, তাহলে দামীরের সঙ্গীতায়োজনের প্রবেশ মূল্য কেমন হওয়া উচিত, সেটা কি আপনার ঠিক করা উচিত? যদি এমন হয় যে আপনি যেভাবেই হোক দামীরের গান শুনতে চান, তাহলে প্রবেশ মূল্য কতো হইলে আপনি যাইতেন? অর্থাৎ কতো টাকার পার্থক্যের কারণে আপনার এই গান শুনা যৌক্তিক মনে হচ্ছে না?
প্রথমত, উন্মুক্ত করে দেওয়াটা যৌক্তিক/অর্থনৈতিক না। কারণ এইটা সরকার করছে না। সরকারি জায়গায় হচ্ছে সত্য। কিন্তু এমন কিছু আয়োজন করতে গেলে বুঝবেন যে আপনাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়ে দিলেই আপনাকে কেউ বাকি খরচ বিজ্ঞাপনের পৃষ্ঠপোষণ দিয়ে কুলায়ে পারবে না। সাহিত্যের প্রতি উৎসর্গীকৃত তাই মুফতে হতে হবে এই যুক্তি দেওয়া আর কাউকে দিয়ে বিনা মূল্যে আপনার ছবি আঁকিয়ে ফেলতে চাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না। দ্বিতীয়ত, ভিআইপি টিকেট রাখাটা আয়োজকদের দৃষ্টিতে বিভিন্ন দিক দিয়ে জরুরি। কারণ দিন শেষে এইটা তারা কেবল বাংলাদেশের মানুষের সাহিত্য উন্নয়নে করছে না। এইখানে তাদের ব্যবসায়িক বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। তারা এমন কিছু মানুষকে আনতে চাইবেন যারা এরকম ‘বিশেষ’ সুবিধা না পাইলে আসবেন না।
এরকম কয়েকজন মানুষকে আনা এবং তাদের চেহারা দেখিয়ে পরের বার বিজ্ঞাপন দেওয়া অবশ্যই জরুরি। যেহেতু কেউ আপনাকে বাধ্য করতেছে না ভিআইপি টিকেট কিনতে, সুতরাং উন্মুক্ত বাজারে আপনার আসলে এইটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করা ঘোড়া ডিংগিয়ে ঘাস খাবার শামিল। তৃতীয়ত, স্বাভাবিক প্রবেশমূল্য নিয়ে আপনি কথা বলতেই পারেন। নিশ্চয়ই একটা পরিমাণ অর্থ হলে আপনি খুশি হইতেন (সেইটা শূন্য হওয়া যাবে না আগেই বলেছি)। এইখানেই আসলে বাজার নির্ধারণের বিষয় আসছে। ধরেন আপনি ৫ টাকায় যাচ্ছেন না, ২ টাকা হইলে যাইতেন। সেইক্ষেত্রে ৫ জনের জায়গায় ২ জন গেলেই এখন পোষাচ্ছে। চরম সাহিত্যিক মনের মানুষ যাচ্ছে নাকি কেবল ধনী মানুষ যাচ্ছে সেইটাও আসলে তেমন বিষয় না। এইবার আয়োজনটা হলেই বুঝা যাবে যে সেই ২ জন যাবে নাকি যাবে না। যদি যায়, তাহলে সামনে টিকেটের দাম আরো বাড়বে। যদি না যায়, কমার একটা সুযোগ আছে। আপনি ক্রিমসন কাপে কতো খরচ করেন, আর এখন সারা দেশে দামের ঊর্ধ্বগতিতে গড়ে ভাত খাওয়া কতোটা কমে গেছে তাতে এরকম একটা উৎসবের কিছু যায় আসে না। এখানে কেউ বলতে পারেন যে একটা সাহিত্য আয়োজন কেন অর্থের কাছে জিম্মি হবে? বিষয়টা এভাবে দেখতে পারেন যে অর্থ উপার্জনের একটা সুযোগ তৈরি আছে বলেই একটা শিল্প অনুষ্ঠান হতে পারছে। ওনারা জানে যে ওনারা মোটামুটি একটা অডিয়েন্স পাবে বলেই এইটা আগে ফ্রিতে আয়োজন করেছে এবং এখন এই দাম রেখেছে। না হলে এমন কিছু হয়তো হতোই না। এইটা তাদের একটা বিনিয়োগ। যদি বাজারে ধরে তবে টিকবে না হলে বন্ধ হয়ে যাবে। ধং ংরসঢ়ষব ধং ঃযধঃ. ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
